main menu

Thursday, October 17, 2024

COVID-19: Long-Term Effects and Health Implications

 

COVID-19 and Recovery
COVID-19 and Recovery

কোভিড-১৯ মহামারী পুরো বিশ্বকে এক নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি করেছে। ভাইরাসটি তার তীব্র সংক্রমণ ক্ষমতা এবং মৃত্যুর হার দিয়ে মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এনেছে। তবে, ভাইরাসটি শুধুমাত্র তৎকালীন সময়েই বিপদজনক ছিল না; এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবগুলো এখন আরও বেশি আলোচনা এবং গবেষণার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোভিড-১৯-এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব (লং কোভিড) শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক জীবনে গভীর পরিবর্তন আনতে পারে।

এই প্রবন্ধে, আমরা কোভিড-১৯-এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব এবং এর স্বাস্থ্যগত প্রভাবগুলো বিশদভাবে আলোচনা করব। ভাইরাসটি শরীরে কী ধরনের দীর্ঘমেয়াদী জটিলতা তৈরি করতে পারে, এবং এই সমস্যাগুলোর সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তা আমরা জানবো।

দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব এবং তাদের ধরণ: কোভিড-১৯-এর তাত্ক্ষণিক প্রভাবগুলো যেমন ফুসফুসে সংক্রমণ, জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণ পরিচিত, তবে ভাইরাসটি অনেক মানুষের শরীরে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব রেখে যেতে পারে। বিশেষ করে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল বা যারা দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যা ভোগ করছেন, তারা লং কোভিডের শিকার হতে পারেন।

কিছু দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবের মধ্যে রয়েছে:

  1. শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা: অনেক রোগীর ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন পরেও শ্বাসকষ্ট থেকে যায়। ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমে যায় এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
  2. হার্টের সমস্যা: কোভিড-১৯-এর ফলে হার্টের পেশী দুর্বল হতে পারে এবং হার্টবিটের অনিয়মিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  3. মস্তিষ্কের জটিলতা: মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাবে দীর্ঘমেয়াদী মাথাব্যথা, মেমরি লস, এবং মনোযোগে ঘাটতি দেখা দেয়।

মানসিক স্বাস্থ্য এবং কোভিড-১৯: কোভিড-১৯-এর দীর্ঘমেয়াদী মানসিক প্রভাবও গভীরভাবে অনুভূত হচ্ছে। বিশেষ করে যারা আইসোলেশন, বিচ্ছিন্নতা এবং অনিশ্চয়তার মধ্যে থেকেছেন, তাদের মধ্যে উদ্বেগ, বিষণ্ণতা এবং ট্রমা বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। মানসিক চাপের কারণে অনেকেই মানসিক স্বাস্থ্য সংকটে পড়েছেন।

  1. উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতা: কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হওয়ার পর অনেক রোগী উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতার শিকার হন। এই রোগের অনিশ্চয়তা এবং সামাজিক বিচ্ছিন্নতা মানসিক স্বাস্থ্যে গভীর প্রভাব ফেলে।
  2. সোশ্যাল ইন্টিগ্রেশন: দীর্ঘ সময় আইসোলেশনে থাকলে সামাজিক মেলামেশা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়।
  3. পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (PTSD): কোভিড-১৯-এর সাথে লড়াই করা অনেক রোগীর ক্ষেত্রে ট্রমা এবং PTSD দেখা গেছে, যা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য একটি গুরুতর সমস্যা।

সার্বিক স্বাস্থ্য এবং কোভিড-১৯: কোভিড-১৯-এর কারণে শরীরের সিস্টেমগুলোতে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব দেখা দিতে পারে। বিশেষত, ইমিউন সিস্টেমের দুর্বলতা এবং শারীরিক কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া অনেক রোগীর জীবনে পরিবর্তন আনতে পারে। শরীরে অক্সিজেনের সরবরাহ কমে গেলে এবং হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা কমে গেলে শারীরিক সক্ষমতা হ্রাস পায়।

  1. ইমিউন সিস্টেম দুর্বলতা: কোভিড-১৯ শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দিতে পারে, যার ফলে শরীর অন্যান্য রোগের প্রতি সংবেদনশীল হয়ে যায়।
  2. শারীরিক কার্যক্ষমতা: কোভিড-১৯-এর পর অনেকেই শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে যান এবং দৈনন্দিন কাজের মধ্যে ধকল অনুভব করেন।
  3. হরমোনের ভারসাম্য: কিছু রোগীর ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ হরমোনের উপর প্রভাব ফেলতে পারে, যা শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন তৈরি করতে পারে।

কোভিড-১৯ এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রতিকার: দীর্ঘমেয়াদী কোভিডের ক্ষেত্রে তাত্ক্ষণিক প্রতিকার প্রায় অসম্ভব হলেও, কিছু প্রতিকারমূলক পদ্ধতি এবং স্বাস্থ্যচর্চা ব্যবহার করে এই সমস্যাগুলো মোকাবেলা করা যায়। সঠিক ডায়েট, নিয়মিত ব্যায়াম, এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দীর্ঘমেয়াদী কোভিডের প্রভাবকে হ্রাস করতে পারে।

  1. স্বাস্থ্যকর ডায়েট: শারীরিক কার্যক্ষমতা বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিন, শর্করা এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তোলে।
  2. নিয়মিত ব্যায়াম: শরীরের কার্যক্ষমতা পুনরুদ্ধার করতে হালকা ব্যায়াম এবং মেডিটেশন অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে।
  3. মানসিক স্বাস্থ্যসেবা: মানসিক চাপ কমাতে এবং উদ্বেগ মোকাবেলা করতে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার উপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত। থেরাপি এবং কাউন্সেলিং এই ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।

কোভিড-১৯ এবং টিকা: কোভিড-১৯ প্রতিরোধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো টিকা। গবেষণায় দেখা গেছে যে টিকা কোভিড-১৯-এর তীব্রতা কমাতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তবে, টিকার পরেও কিছু ক্ষেত্রে লং কোভিড দেখা যেতে পারে। এ কারণে টিকা নেওয়ার পরেও সতর্কতা বজায় রাখা জরুরি।

  1. টিকা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা: কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে টিকার গুরুত্ব অপরিসীম।
  2. লং কোভিড প্রতিরোধ: টিকা নেওয়া সত্ত্বেও লং কোভিডের ঝুঁকি থাকায়, সঠিক চিকিৎসা এবং সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।
  3. সতর্কতা: টিকা নেওয়ার পরেও হাত ধোয়া, মাস্ক পরা, এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা উচিত।

কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাব এখনো আমাদের জীবনে রয়ে গেছে। যদিও এই রোগের তাত্ক্ষণিক প্রভাবগুলি কমে এসেছে, তবে এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবগুলি নিয়ে আমাদের আরও সচেতন থাকতে হবে। শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে শক্তিশালী করতে এবং লং কোভিডের জটিলতাগুলি মোকাবেলা করতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা এবং সঠিক চিকিৎসার উপর জোর দিতে হবে।

কোভিড-১৯: দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব এবং স্বাস্থ্যগত প্রভাব: মূল কথা

  • কোভিড-১৯ শরীর ও মনের উপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে, যা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য দুটিতেই সমস্যা তৈরি করে।
  • স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা, ব্যায়াম এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবা লং কোভিডের প্রভাবকে হ্রাস করতে সহায়ক।
  • টিকা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা কোভিড-১৯-এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করতে পারে।

Wednesday, October 16, 2024

The Role of Telemedicine in Managing Chronic Diseases

 

Telemedicine Consultation
Telemedicine Consultation

দীর্ঘস্থায়ী রোগগুলি বিশ্বের স্বাস্থ্য সেবার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে একটি। বাংলাদেশ সহ বিশ্বজুড়ে দীর্ঘস্থায়ী রোগ যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ এবং ফুসফুসের রোগের বৃদ্ধির হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে চলেছে। এই ধরনের রোগগুলির ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলি দীর্ঘমেয়াদী এবং প্রায়শই রোগীর জীবনমানের উপর বড় প্রভাব ফেলে। আধুনিক প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে টেলিমেডিসিন দীর্ঘস্থায়ী রোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

টেলিমেডিসিন হল স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী এবং রোগীদের মধ্যে দূরবর্তী যোগাযোগের একটি মাধ্যম, যেখানে ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে চিকিৎসা পরামর্শ, চিকিৎসা সেবা, এবং পর্যবেক্ষণ প্রদান করা হয়। এটি বিশেষ করে দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য অত্যন্ত কার্যকর একটি মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

দীর্ঘস্থায়ী রোগের চ্যালেঞ্জ:

দীর্ঘস্থায়ী রোগগুলির প্রধান চ্যালেঞ্জ হল এর দীর্ঘমেয়াদী প্রকৃতি। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, এবং হৃদরোগের মতো রোগে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ, ঔষধ নিয়ন্ত্রণ, এবং জীবনধারা পরিবর্তন অপরিহার্য। কিন্তু রোগীরা প্রায়ই নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার সুযোগ পান না। এছাড়া, অনেক রোগীর পক্ষে নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে যাওয়া সম্ভব হয় না, বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকায় বাসকারী রোগীদের ক্ষেত্রে।

এ ধরনের পরিস্থিতিতে টেলিমেডিসিন দীর্ঘস্থায়ী রোগের ব্যবস্থাপনার জন্য একটি কার্যকর সমাধান হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এটি রোগীদের ঘরে বসে চিকিৎসা সেবা গ্রহণের সুযোগ দেয়, ফলে তাদের স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার অভিজ্ঞতা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।

টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ:

দীর্ঘস্থায়ী রোগের ক্ষেত্রে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত জরুরি। নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা, রক্তে শর্করার মাত্রা, এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সূচকের নিয়মিত নজরদারি করার মাধ্যমে রোগের উন্নতি বা অবনতির উপর নজর রাখা যায়। টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে রোগীরা বাড়ি থেকে তাদের স্বাস্থ্য তথ্য সরাসরি চিকিৎসকদের সাথে ভাগ করতে পারেন।

এ ধরনের সেবা রোগীদের স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে সাহায্য করে। চিকিৎসকরা এই তথ্যের ভিত্তিতে রোগীর চিকিৎসা পরিকল্পনা নির্ধারণ করেন এবং প্রয়োজনে ঔষধের ডোজ বা চিকিৎসা পদ্ধতি পরিবর্তন করতে পারেন।

স্বাস্থ্য সচেতনতা ও পরামর্শ:

দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সঠিক স্বাস্থ্য সচেতনতা। রোগীরা প্রায়ই তাদের রোগ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানেন না, ফলে রোগের সঠিক নিয়ন্ত্রণ এবং চিকিৎসা কার্যকর হয় না। টেলিমেডিসিন রোগীদের জন্য বিভিন্ন স্বাস্থ্য সচেতনতা প্রোগ্রামের মাধ্যমে রোগ সম্পর্কে তথ্য প্রদানের একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।

এছাড়া, রোগীরা ঘরে বসে চিকিৎসা পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন, যা তাদের জীবনধারার পরিবর্তন করতে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের সাথে লড়াই করার উপায়গুলি শিখতে সাহায্য করে। টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে চিকিৎসা পরামর্শ গ্রহণ রোগীদের মনোবল বাড়িয়ে তোলে এবং চিকিৎসা সেবায় গতি আনে।

টেলিমেডিসিন এবং জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা:

দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত অনেক রোগী প্রায়ই হঠাৎ করে গুরুতর অবস্থার সম্মুখীন হন, যেমন শ্বাসকষ্ট, হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া, বা হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়ার মতো জরুরি পরিস্থিতি। এ ধরনের পরিস্থিতিতে টেলিমেডিসিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

রোগীরা প্রাথমিক পর্যায়ে টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে দ্রুত চিকিৎসা পরামর্শ পেতে পারেন এবং প্রয়োজনে হাসপাতালে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এই প্রযুক্তি দূরবর্তী এলাকা বা প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সেখানে হাসপাতাল বা চিকিৎসা কেন্দ্র প্রায়ই কাছাকাছি থাকে না।

দীর্ঘস্থায়ী রোগের জন্য টেলিমেডিসিনের অর্থনৈতিক সুবিধা:

টেলিমেডিসিন দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য অর্থনৈতিকভাবে অনেকটাই সহায়ক হতে পারে। চিকিৎসকের সাথে সরাসরি সাক্ষাতের পরিবর্তে, বাড়িতে বসে চিকিৎসা পরামর্শ গ্রহণের ফলে সময় ও অর্থের সাশ্রয় হয়। এছাড়া, যাতায়াতের খরচ এবং সময়ের অপচয় এড়িয়ে চলা সম্ভব হয়।

অনেক দেশে টেলিমেডিসিনকে সাশ্রয়ী মূল্যের স্বাস্থ্যসেবা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, যা সকলের জন্য সহজলভ্য। বাংলাদেশেও এই সেবা ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, এবং এটি দেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় একটি নতুন মাত্রা যোগ করছে।

প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে টেলিমেডিসিনের ভবিষ্যৎ:

প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে টেলিমেডিসিন সেবার মান আরও উন্নত হচ্ছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) এবং মেশিন লার্নিং (ML) প্রযুক্তির মাধ্যমে টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে আরও উন্নত এবং ব্যক্তিগতকৃত চিকিৎসা সেবা প্রদান করা সম্ভব।

অ্যাপস এবং ওয়েব প্ল্যাটফর্মগুলির মাধ্যমে রোগীরা তাদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ করতে পারেন এবং এটি চিকিৎসকদের সাথে ভাগ করতে পারেন। এর ফলে, রোগীরা তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে আরও সচেতন হন এবং নিয়মিত চিকিৎসা সেবা গ্রহণে আগ্রহী হন।

বাংলাদেশের টেলিমেডিসিন সেবা:

বাংলাদেশেও টেলিমেডিসিন সেবা সম্প্রতি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। দেশের অনেক অঞ্চলেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সেবা সহজলভ্য নয়। টেলিমেডিসিন প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগীরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে পারেন।

দেশের অনেক স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান টেলিমেডিসিন সেবা প্রদান করছে, যা রোগীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা। এর মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্যসেবায় আরও অনেক দূর এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

টেলিমেডিসিন এবং মানসিক স্বাস্থ্য:

দীর্ঘস্থায়ী রোগের পাশাপাশি, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাগুলিও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক সময় দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত রোগীরা মানসিক চাপ, উদ্বেগ, এবং বিষণ্ণতার মতো মানসিক সমস্যায় ভুগতে থাকেন।

টেলিমেডিসিন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার ক্ষেত্রেও অত্যন্ত কার্যকর। রোগীরা বাড়ি থেকে মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন এবং নিয়মিত থেরাপি সেশন নিতে পারেন।

সার্বিক মূল্যায়ন:

টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী রোগ ব্যবস্থাপনা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন এনে দিয়েছে। এটি রোগীদের জন্য চিকিৎসা সেবা আরও সহজলভ্য, দ্রুত এবং সাশ্রয়ী করেছে।

এর মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী রোগের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ, চিকিৎসা পরামর্শ, এবং জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রদান সম্ভব হচ্ছে। প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে এই সেবা আরও উন্নত হবে এবং রোগীদের জন্য আরও কার্যকর সমাধান নিয়ে আসবে।

টেলিমেডিসিন দীর্ঘস্থায়ী রোগ ব্যবস্থাপনায় অত্যন্ত কার্যকর একটি পদ্ধতি হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। এটি রোগীদের জন্য চিকিৎসা সেবা সহজলভ্য করেছে এবং স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের প্রক্রিয়া অনেকটাই উন্নত করেছে। এর মাধ্যমে রোগীরা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ, চিকিৎসা পরামর্শ, এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা অর্জন করতে পারছেন। প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে টেলিমেডিসিনের গুরুত্ব আরও বাড়বে, এবং এটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

 

দীর্ঘস্থায়ী রোগ ব্যবস্থাপনায় টেলিমেডিসিনের ভূমিকা: মূল কথা

  • টেলিমেডিসিন দীর্ঘস্থায়ী রোগের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় কার্যকর।
  • এটি রোগীদের ঘরে বসে চিকিৎসা সেবা গ্রহণের সুযোগ দেয়।
  • প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং সাশ্রয়ী মূল্যের সেবা প্রদান টেলিমেডিসিনের ভবিষ্যৎ উন্নত করবে।
  • বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগীদের জন্য টেলিমেডিসিন একটি গুরুত্বপূর্ণ সেবা হয়ে উঠেছে।
  • দীর্ঘস্থায়ী রোগ ছাড়াও, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায়ও টেলিমেডিসিন কার্যকর ভূমিকা পালন করছে।

Lemongrass: Anti-Inflammatory and Digestive Benefits of This Herb

  Lemongrass লেমনগ্রাস বা লেবু ঘাস একটি বহুমুখী ভেষজ , যা প্রাচীনকাল থেকে স্বাস্থ্যসেবায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এর তীক্ষ্ণ লেবু সুবাস এবং ঔষধ...